১০ ডিসেম্বর ২০২০ ৪১তম স্প্যানটি বসানোর মাধ্যমে দৃশ্যমান হলো গোটা পদ্মা সেতুর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার অংশ। দুপুর ১২টার দিকে সর্বশেষ স্প্যানটি বসানোর কাজ শেষ হয়।
৪১তম এই স্প্যান সেতুর ১২ ও ১৩ নম্বর খুঁটির (পিলার) ওপর বসানো হয়।
প্রথম স্প্যান ৩৭ ও ৩৮ পিলারে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭
বাকি ৪০টি স্প্যান বসাতে তিন বছর দুই মাস লাগল।
প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার ও ৩২০০ টন ওজনের
দৃশ্যমান স্বপ্নের পদ্মা সেতু
![](https://albangladesh.com/wp-content/uploads/2020/12/দৃশ্যমান-স্বপ্নের-পদ্মা-সেতু-1-576x1024.jpg)
৪২টি খুঁটির সঙ্গে স্প্যানগুলো জোড়া দেওয়ার মাধ্যমে পুরো সেতু দৃশ্যমান হয়েছে।
পদ্মার মূল সেতু, অর্থাৎ নদীর অংশের দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার।
দুই পারে আরও প্রায় চার কিলোমিটার সেতু আগেই নির্মাণ হয়ে গেছে। এটাকে বলা হয় ভায়াডাক্ট। এর মধ্যে স্টিলের কোনো স্প্যান নেই।
কাজ শেষ হলে যানবাহন চলাচলের পথটি হবে ২২ মিটার চওড়া, চার লেনের। মাঝখানে থাকবে বিভাজক
তৈরি হল রাজধানীর সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগের পথ।
মুন্সিগঞ্জের মাওয়া থেকে শরীয়তপুরের জাজিরা পর্যন্ত পদ্মার এপার-ওপার যুক্ত হয়।
২০০৭ সালে একনেকে পাস হওয়া পদ্মা সেতু প্রকল্পের ব্যয় ছিল ১০ হাজার ১৬২ কোটি টাকা।
২০১১ সালে ব্যয় বাড়িয়ে করা হয় ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা।
২০১৬ সালে দ্বিতীয় দফা সংশোধনের পর ব্যয় দাঁড়ায় ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা।
২০১৮ সালের জুনে আবারও ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা
পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ১ দশমিক ২৩ শতাংশ হারে জিডিপি বৃদ্ধি পাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে
![](https://albangladesh.com/wp-content/uploads/2020/12/দৃশ্যমান-স্বপ্নের-পদ্মা-সেতু-2-576x1024.jpg)
প্রতি বছর শূন্য দশমিক ৮৪ শতাংশ হারে দারিদ্র্য কমবে বলে সরকার আশা করছে।